ভাইেরা এবং আপুরা, সালাম নিন। ১৪ আগস্ট ২০২৫ এর এই গরমের দিনের মধ্যে বসে ভাবলাম স্বাস্থ্য নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। ঢাকা শহরের জীবনে, বিশেষ করে গুলশান বা আশেপাশে যারা থাকে, সবাই জানেন ব্যস্ততা আর মানসিক চাপ কতটা বেশি। তাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সহজ স্বাস্থ্য টিপস শেয়ার করছি, যাতে ইনশাআল্লাহ আপনাদেরও কাজে লাগতে পারে।
প্রথমেই পানি পানের কথা বলতে হবে। গুলশানে কলেজ বা কোচিং ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় ঠিকমতো পানি খাওয়া হয় না। আমি নিজেও আগে দিনে খুব কম পানি খেতাম, ফলে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি এগুলো নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমি চেষ্টা করি দিনে অন্তত দুই লিটার পানি খেতে। এতে শরীর হালকা লাগে, মনোযোগ বাড়ে, আর ত্বকের অবস্থাও ভালো থাকে। আপনারাও চাইলে ব্যাগে একটা ছোট বোতল রাখলেই হয়ে যায়।
আরেকটা বড় টিপস হলো নিয়মিত হাঁটা। জিমে যাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হয় না, সেটা বুঝি। কিন্তু গুলশান লেকের পাশে সন্ধ্যার সময় একটু হাঁটলে দারুণ ফিল পাওয়া যায়। আমি পরীক্ষার চাপের সময়ও প্রতিদিন অন্তত পনের মিনিট হাঁটার চেষ্টা করি। এতে মানসিক চাপ কমে, ঘুম ভালো হয়, আর পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ে। যারা পড়াশোনা নিয়ে অনেক টেনশনে থাকেন, এটা ট্রাই করতে পারেন মাশাআল্লাহ ভালো ফল পাবেন।
খাবারের কথাও বাদ দেয়া যায় না। আমাদের দেশে ফুচকা, চটপটি, পরোটা এসবের লোভ সামলানো মোটেও সহজ না। আমিও মাঝে মাঝে খাই, তবে এখন চেষ্টা করি সপ্তাহে এক বা দুইবারের বেশি না খেতে। বাসায় খিচুড়ি বা শাকসবজি খেলে শরীর হালকা থাকে। বিশেষ করে গরমের সময় বিরিয়ানির পরিমাণ একটু কমিয়ে দিলে শরীর আরাম পায়। আর দিনে অন্তত একটা ফল খাওয়া খুবই উপকারী।
সবশেষে বলবো, মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন। পড়ালেখা, পারিবারিক দায়িত্ব, সোশ্যাল মিডিয়া সব মিলিয়ে মাথা অনেক সময় ভারি হয়ে যায়। তাই মাঝেমধ্যে ফোন দূরে রেখে নিজের জন্য একটু শান্ত সময় বের করুন। আমি মাঝে মাঝে ছাদে গিয়ে বসে বাতাস খাই, কয়েক মিনিট চুপচাপ থাকি। এটাই আমাকে রিফ্রেশ করে। আপনারাও নিজের মতো করে একটু শান্ত সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
আশা করি টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে ভাই। কেউ চাইলে নিজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করতে পারেন। 😊
Top comments (0)