আমাদের দাদা দাদিরা যেসব ঘরোয়া চিকিৎসার কথা বলতেন সেগুলো কিন্তু এখনো অনেক কার্যকর। আমি নিজে রাজশাহী সিটিতে থাকি, চাষাবাদ নিয়ে ব্যস্ত থাকি সারাদিন। মাঠে কাজ করতে গিয়ে ছোটখাটো অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে। প্রতিবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না, তাই ঘরোয়া টোটকাগুলো আমার জীবনে অনেক কাজে আসে।
গত সপ্তাহে আমার ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হলো। বাজারে গিয়ে ওষুধ কিনতে পারতাম, কিন্তু আম্মা বললেন এক গ্লাস গরম পানিতে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে খেতে। সাথে একটু আদা কুচি দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ দুইদিনের মধ্যে সুস্থ। এটা আমাদের এলাকায় বহু বছর ধরে চলে আসছে। তুলসী পাতার রসও খুব উপকারী, বিশেষ করে কাশির জন্য।
পেটের সমস্যা আমাদের কৃষকদের নিত্যদিনের সাথী। মাঠে কাজ করার সময় অনেক সময় বাইরের পানি খেতে হয়, তখন পেট গরম হয়ে যায়। এই সমস্যায় দই খুবই কার্যকর। ভাতের সাথে একটু টক দই মিশিয়ে খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। এছাড়া পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়। আমার এক প্রতিবেশী ভাই জিরা পানি খান প্রতিদিন সকালে, তার গ্যাসের সমস্যা একদম কমে গেছে।
চামড়ার ছোটখাটো সমস্যায় নিম পাতা আমাদের এলাকায় বহুল ব্যবহৃত। ফোঁড়া বা ছোট ক্ষতে নিম পাতা বেটে লাগালে দ্রুত সেরে যায়। হলুদের পেস্টও অনেক কাজে আসে। আমার ছেলের হাতে একবার কাটা লেগেছিল, হলুদ দিয়ে রক্ত বন্ধ করেছিলাম। তবে বড় কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে, সেটা ভুললে চলবে না।
শেষ কথা হলো ঘরোয়া চিকিৎসা ছোটখাটো সমস্যায় অনেক সাহায্য করে। কিন্তু এগুলো ডাক্তারের বিকল্প না। গুরুতর অসুস্থতায় অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে। ইনশাআল্লাহ সবাই সুস্থ থাকবেন।
Top comments (0)