ভাইয়েরা, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ সালের এই সুন্দর দিনে বসে মনে হলো আমার সাম্প্রতিক এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। গত কয়েক মাস ধরে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে করতে মাথা বেশ ভার হয়ে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম একটু ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসি। আলহামদুলিল্লাহ, সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে এক সপ্তাহের জন্য একটা ভ্রমণ গাইড তৈরি করলাম, যেন নিজের মতো করে সবকিছু সাজিয়ে নিতে পারি। অনেকেই আমাকে আগে জিজ্ঞেস করেছিল, “মামা, তুই কিভাবে এইসব প্ল্যান করো?” তাই ভাবলাম আজ বিস্তারিত বলি।
প্রথমেই আমি ঠিক করলাম যে যেভাবেই হোক ভ্রমণটা আরামদায়ক হতে হবে। এখনকার দিনে অনলাইনে সবকিছুই পাওয়া যায়, তাই Daraz আর কিছু ট্রাভেল ওয়েবসাইট ঘেঁটে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাগ, সানস্ক্রিন, পাওয়ার ব্যাংক, আর ছোট ফার্স্ট এইড কিট নিয়ে নিলাম। তারপর Google Maps খুলে যাত্রাপথ ঠিক করলাম। ইনশাআল্লাহ, আগের অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগিয়ে এবার একটু কম ভুল করলাম। এর আগে দুই একবার এমন হয়েছে যে হোটেল বুকিং ঠিকমতো রিসিভ করেনি, কিন্তু এবার আগেই ফোন করে নিশ্চিত হয়ে নিলাম। ঢাকা থেকে বের হওয়ার আগের রাতে গুলশানের এক কফিশপে বসে পুরো ট্রিপের টাইমলাইন আর বাজেট ঠিক করলাম। সত্যি বলতে, একটু উত্তেজনাও কাজ করছিল।
ট্রাভেল গাইড তৈরি করতে গিয়ে বুঝলাম যে ভ্রমণ মানে শুধু জায়গা দেখা নয়, নিজের জন্য একটা মানসিক অবকাশও। আমি যেদিকেই গেছি, চেষ্টা করেছি স্থানীয় খাবার ট্রাই করতে। ইলিশ আর ভাজা পরোটার মতো জিনিসগুলো আলাদা করে মনে দাগ কেটে গেছে। এছাড়া পথ চলতে চলতে Pathao আর bKash কতটা সুবিধা দেয়, সেটা আবার নতুন করে উপলব্ধি করলাম। কোথাও টাকা কম পড়ে গেলে বা দ্রুত গাড়ি দরকার হলে এই সার্ভিসগুলো মাশাআল্লাহ ভীষণ সহায়ক।
শেষ দিনে বসে ভাবছিলাম, পুরো ভ্রমণটাই যেন একটা ছোট বই। প্রতিটা অধ্যায়ে নতুন কিছু শেখার সুযোগ। নিজের তৈরি এই ভ্রমণ গাইডটা এখন মনে হয় ভবিষ্যতে আরও অনেক কাজে লাগবে। ইনশাআল্লাহ, আবার কখনো কোথাও বের হলে এই অভিজ্ঞতা আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারব। আর যদি কেউ নিজের জন্য ভ্রমণ গাইড বানাতে চায়, তাহলে বলব, আগে নিজের প্রয়োজন বুঝে ধীরে ধীরে সব ঠিক করুন। তাড়াহুড়া নয়, পরিকল্পনাই আপনার ভ্রমণকে সফল করবে।
Top comments (0)