বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেকের কাছে দীর্ঘ আর চাপের মনে হয়, কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা থাকলে বিষয়টি মোটেই অসম্ভব নয় ভাই। মোহাম্মদপুরে থাকি বলে আমি নিজেও দেখেছি, এখানে অনেক কোচিং সেন্টার আর শান্ত পড়ার জায়গা পাওয়া যায়। আমার এক বন্ধুর অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সে রেগুলার স্টাডি রুটিন বানিয়ে পড়ত। প্রতিদিন কম সময় হলেও কনসিস্টেন্ট থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আলহামদুলিল্লাহ, সে এখন ভীষণভাবে মোটিভেটেড থাকে, আর নিজের অগ্রগতি নোট করে।
বিসিএস প্রস্তুতিতে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বড় ভূমিকা রাখে। যেহেতু এখন ২০২৫ সাল শুরু হয়েছে, তাই সাম্প্রতিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবর প্রতিদিন দেখে যাওয়া দরকার। বাংলা, ইংরেজি আর গণিত এই তিনটি সাবজেক্টে বেসিক শক্ত না হলে সমস্যা হয়। অনেকেই বলে, সময় কম থাকলে শর্ট নোটস খুব কাজে দেয়। মোহাম্মদপুরের কলোনি ময়দান বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়লে মনোযোগ বাড়ে। নিজে যখন সেখানে পড়তে যেতাম, দেখতাম কী শান্ত পরিবেশ, পড়াশোনার জন্য দারুণ উপযোগী।
মডেল টেস্ট দেওয়া বিসিএস প্রস্তুতির অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম। আমার এক সিনিয়র ভাই সবসময় বলতেন, সপ্তাহে অন্তত দুইটা মডেল টেস্ট দিলেই নিজের দুর্বল দিকগুলো ধরা পড়ে যায়। এখন অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আছে, যেমন বিভিন্ন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট বা অ্যাপ, যেখানে রিয়েল টাইমে মডেল টেস্ট দেওয়া যায়। এতে পরীক্ষার ফরম্যাট বুঝতে সুবিধা হয়। ইনশাআল্লাহ, নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে সময় ব্যবস্থাপনাও আরও ভালো হয়ে যায়।
নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত রাখাও খুব জরুরি। বিসিএস প্রস্তুতি দীর্ঘ সময়ের, তাই মাঝে মাঝে ব্রেক নেওয়া দরকার। চা খেতে খেতে একটু হাঁটাহাঁটি করা, বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা বা পরিবারকে সময় দেওয়া মনকে সতেজ রাখে। একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, তুলনায় না গিয়ে নিজেকে নিজের সাথে কম্পেয়ার করুন। প্রতিদিন একটু একটু উন্নতি করাটাই আসল সফলতা। মাশাআল্লাহ, যারা ধৈর্য ধরে এগোয়, তারাই শেষ পর্যন্ত ভালো করে।
সবশেষে একটা কথা ভাই, বিসিএস শুধু পড়াশোনার পরীক্ষা না, এটা ধৈর্য, নিয়মিততা আর মানসিক শক্তিরও পরীক্ষা। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে, পরিকল্পনা মেনে এগোন, তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফল আসবেই। আপনার জন্য দোয়া রইলো, চেষ্টা চালিয়ে যান। 🚀
Top comments (0)