২৪ জুন ২০২৫, ঢাকা. ক্রিকেট বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশজুড়ে আবারও নতুন উৎসাহ তৈরি হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে কোন নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টের সূচি বা ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি, তবুও ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিদিনই নানা আলোচনায় ব্যস্ত। ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপ এলেই সারা দেশজুড়ে এক ধরণের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। চা দোকান থেকে শুরু করে অফিস ক্যান্টিন, সবাই এখনো আগের বিশ্বকাপগুলোর স্মৃতি নিয়ে গল্প করছে।
ক্রিকেট নিয়ে এই উত্তেজনার ব্যাপারটা বিদেশেও কম নয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা বিশ্বকাপ এলেই একসাথে বসে খেলা দেখার পরিকল্পনা করে রাখে। আমি নিজেও যখন খালিফা সিটিতে কাজ করতাম, তখন ম্যাচ থাকা মাত্রই আমরা রুমে বড় স্ক্রিন লাগিয়ে সবাই বসলাম। হাতে থাকত পরোটা আর ডিম ভাজি, আর অনেকে আবার ফুচকা বা চানাচুরের প্যাকেট নিয়ে আসত। ইনশাআল্লাহ এবারও খেলা শুরু হলে একইভাবে উৎসব হবে, এমনটাই আশা করছে প্রবাসীসকল।
দেশের ভেতরেও ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় ছোটখাটো ফ্যান জোন তৈরি হওয়া নতুন কিছু নয়। খুলনা সিটিতে তো বিশেষ করে গল্লামারী আর শিববাড়ী এলাকার চা দোকানগুলোতে খেলার দিন চেয়ারই থাকে না। সবাই আগে থেকে গিয়ে জায়গা নিয়ে রাখে। অনেক পরিবার আবার ঘরেই বড় টিভির সামনে খিচুড়ি আর ফ্রাইড চিকেন বানিয়ে আত্মীয়দের নিয়ে বসে। ক্রিকেট যেন এক ধরনের পারিবারিক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
এদিকে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি নিয়েও দর্শকদের কৌতূহল বাড়ছে। যদিও নির্দিষ্ট দলে কারা থাকবে বা কেমন প্রস্তুতি চলছে সে সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই, তবুও ভক্তরা আশাবাদী যে দল ভালো কিছু উপহার দেবে। বাংলাদেশে যখনই কোনো বড় টুর্নামেন্ট আসে, তখনই সবাই বলে আসে আলহামদুলিল্লাহ আমরা ক্রমশ উন্নতি করছি এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ক্রিকেট বিশ্বকাপ সামনে এলেই বাংলাদেশে এক বিশেষ আবহ তৈরি হয়। এটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং একটি জাতীয় আবেগের অংশ। মাশাআল্লাহ এই আবেগই দেশের মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে। এবারও ভক্তরা আশা করছেন সামনে যখনই বিশ্বকাপ শুরু হবে, বাংলাদেশ দল সেরাটা দিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
Top comments (0)