Banglanet

নগরায়ন ও পরিবেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধান

ঢাকায় বসবাস করতে করতে পরিবেশ নিয়ে চিন্তা এখন আমাদের সবারই একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায় যে শহরের দ্রুত নগরায়ন আর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশের উপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বনানীতে থাকি বলে নিজেই প্রায় প্রতিদিনই টের পাই যে সকালে বের হলেই ধুলো আর গাড়ির ধোঁয়ার কারণে নিঃশ্বাস নিতে কেমন কষ্ট হয়। আলহামদুলিল্লাহ এখনো সামাল দেওয়া যায়, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভাবলে মাঝে মাঝে দুশ্চিন্তা হয়।

সম্প্রতি দেখছি বৃষ্টি না হলে রাস্তায় ধুলো এমনভাবে উড়ে বেড়ায় যে চোখ-মুখ ঢেকে হাঁটতে হয়। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের বাজারে যেতে গেলে আরও বেশি টের পাই। অনেক ভাই বলে গাছপালা কমে যাওয়ার কারণেই নাকি এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আমার নিজের ছোট ছাদের বাগানটাও মাশাআল্লাহ ভালোই আছে, কিন্তু গরমের কারণে গাছগুলো কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ইনশাআল্লাহ এই বছর থেকে আরেকটু বড় পরিসরে সবজি চাষ করার চেষ্টা করছি যাতে কম হলেও পরিবেশে অবদান রাখা যায়।

এদিকে পানি নিয়ে সমস্যাও এখন নিয়মিত বিষয়। বনানী এলাকায় গভীর নলকূপ আর পাইপ লাইনের চাপে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে বলে অনেকেই বলছে। এতে কৃষিকাজেও প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে যারা শহরের আশেপাশে ছাদে, বারান্দায় কিংবা ছোট জমিতে চাষ করে। আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ে, সে মিরপুরে ছাদে লাউ আর শসা চাষ করে। সে বলছিল যে গরমের দিনে গাছ বাঁচিয়ে রাখতে প্রচুর পানি লাগে, আর সেটা এখন ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে।

তবুও আশার জায়গাও আছে। এখন অনেকেই সচেতন হচ্ছে, সরকার আর বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব সংগঠনও গাছ লাগানো, বর্জ্য কমানো আর পুনর্ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যদি আমরা প্রত্যেকে সামান্য করে হলেও ছাদে বা বারান্দায় কিছু গাছ লাগাই, প্লাস্টিক কম ব্যবহার করি এবং আশপাশ পরিষ্কার রাখি, তাহলে শহরের পরিবেশ অনেকটাই বদলে যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাই আরও সচেতন হবে এবং আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা বাসযোগ্য পরিবেশ রেখে যেতে পারব।

Top comments (0)