ভাইরা, ২০ জুন ২০২৫ এর এই ব্যস্ত সময়ে অনেকেই কাজ, পরিবার আর বিদেশের জীবন নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে আছি। কিন্তু তার মাঝেও ইসলামী জীবনযাপনকে ধরে রাখা সত্যিই আমাদের জন্য বড় এক পরীক্ষা। আমি প্রবাসে থাকি, তাই অনেক সময়ই মনে হয় যে বাংলাদেশে যেভাবে ধর্মীয় পরিবেশ থাকে, এখানে সেই সুযোগগুলো কম। তারপরও যতটুকু পারি চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে কিছু অভিজ্ঞতা আর উপলব্ধি শেয়ার করি, যেন আলোচনা জমে ওঠে।
প্রবাসে থাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো সময় ম্যানেজমেন্ট। অফিসের কাজ, ট্র্যাফিক, বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব এগুলো সামলে নামাজগুলো সময়মতো আদায় করা একটু কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি, যখনই নামাজকে প্রথম অগ্রাধিকার দিই, তখন দিনটা আশ্চর্যজনকভাবে অনেক সুন্দর কাটে, মাশাআল্লাহ। বিশেষ করে ফজরের নামাজটা ঠিকমতো পড়তে পারলে পুরো দিনের মানসিক শান্তি অন্যরকম থাকে। আপনি যদি ব্যস্তও থাকেন, চেষ্টা করুন অফিসে বা কাজের জায়গায় ছোট একটা জায়গা রেখে দেওয়ার, যেখানে শান্তিতে নামাজ পড়া যায়।
খাদ্যাভ্যাসেও ইসলামী জীবনযাপন বড় ভূমিকা রাখে। প্রবাসে থাকলে হালাল খাবারের ব্যবস্থা একটু খুঁজে নিতে হয়। আমি নিজে চেষ্টা করি সপ্তাহান্তে কিছুটা সময় বের করে বাসায় ইলিশ ফ্রাই বা খিচুড়ি রান্না করি, মনে হয় যেন ঢাকায় ধানমন্ডি বা মিরপুরের জীবনে ফিরে গেছি। খাবারও যদি হালাল হয় আর নামাজও সময়মতো হয়, তাহলে মনে হয় জীবনে একটা ভারসাম্য ফিরে আসে। ইসলামী জীবনযাপন মানে শুধু ওয়াজ-নসিহত নয়, বরং দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোকে সুন্দরভাবে সাজানো।
সবশেষে একটা ব্যাপার খুব গভীরভাবে বুঝেছি, আর তা হলো দুয়ার শক্তি। অনেক সময় সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে যাই, তখন আল্লাহর কাছে খাঁটি মনে দুয়া করলে ইনশাআল্লাহ যে কোন সমস্যার সমাধান মিলেই যায়। প্রবাসে একাকিত্বও একটি বাস্তবতা, বিশেষ করে শীতকালের দীর্ঘ রাতগুলোতে। সেই সময় আল্লাহর সাথে সংযোগটা মনকে খুব দৃঢ় করে। ইসলামী জীবনযাপন কোনো কঠিন নিয়মের বোঝা নয়; বরং এটা আমাদের জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা আর সন্তুষ্টি এনে দেয়।
আপনারা প্রবাসে বা দেশে থাকুন, ইসলামী জীবনযাপন নিয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা কেমন ভাই? কেউ কি কোনো বিশেষ অভ্যাস বা টিপস অনুসরণ করেন যা আপনাকে সাহায্য করেছে? শেয়ার করলে ভালো লাগবে। ইনশাআল্লাহ সবার আলোচনা থেকে আমরা শেখার সুযোগ পাবো। 🕌🌿
Top comments (0)