Banglanet

Aisha Ali
Aisha Ali

Posted on

রাজনৈতিক দলগুলোর সাম্প্রতিক কর্মসূচি ও মাঠপর্যায়ের বাস্তব চিত্র

রাজনৈতিক অঙ্গনে আজকাল যেটা সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে, তা হলো বিভিন্ন দলের প্রচারধর্মী কর্মসূচি। ২৯ নভেম্বর ২০২৫ এর প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, বড় বড় দল থেকে শুরু করে নতুন উদীয়মান রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মগুলোও নিজেদের অবস্থান জনসমক্ষে তুলে ধরতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সাধারণভাবে এগুলোকে ঘিরে মানুষের মধ্যে আলোচনা, প্রত্যাশা আর কিছুটা সতর্ক মনোভাব দুটোই দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রভাব বরাবরের মতোই বেশ স্পষ্ট।

ধানমন্ডি এলাকায় আমার নিজেরই কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে। সম্প্রতি এক সপ্তাহের মধ্যে দুই দিনের ব্যবধানে বাড়ির সামনে দেখা গেল একটি বড় দলের সদস্যরা প্রচারপত্র বিলি করছেন। তারা বলছিলেন ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা, আর সঙ্গে ছোটখাটো রাস্তার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও শোনা গেল। মানুষজন সেই প্রচারপত্র হাতে নিয়ে পড়ছিল, আবার কেউ কেউ হাসিমুখে বলছিলেন, ইনশাআল্লাহ উন্নয়ন হলে ভালোই হবে। তবে ভিড় বেশি হলে ট্রাফিক একটু জটলা তৈরি করেছিল, যেটা ধানমন্ডির ব্যস্ত এলাকায় নতুন কিছু নয়।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজকাল রাজনৈতিক খবরগুলো বেশ মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করেন। আমিও গালফে থাকাকালীন দেখেছি, রাজনৈতিক হালচাল জানার জন্য Facebook গ্রুপ, YouTube লাইভ প্রোগ্রাম আর অনলাইন সংবাদই ছিল সবচেয়ে দ্রুত মাধ্যম। প্রবাসীরা সাধারণত দেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চায়, কারণ অস্থিরতা হলে পরিবারের উপর তার প্রভাব পড়ে। তাই তারা প্রায়ই বলে থাকেন, আলহামদুলিল্লাহ পরিস্থিতি শান্ত থাকলে মনও শান্ত থাকে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি সাজাতে এখন অনেক বেশি সচেতন হচ্ছে বলেই মনে হয়। অনেক দল জনসংযোগ বাড়াতে সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ছোট আলোচনাসভা, উন্মুক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠান এবং যুবদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এসবকে ঘিরে মাঝে মাঝে ফুচকার দোকানে কিংবা চায়ের আড্ডায় কথাবার্তা জমে ওঠে। মানুষ বলে, পরিবর্তন চাইলে অংশগ্রহণ জরুরি, আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হলে সবাই স্বস্তি পায়।

সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক কার্যক্রমগুলোতে এক ধরনের গতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার উল্লেখ করা কঠিন, তবে সাধারণ প্রবণতা বলছে যে দলগুলো এখন আরও বেশি সংগঠিত, প্রচারণা আরও পরিকল্পিত এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে বেশি মনোযোগী। ভবিষ্যতে এই কর্মসূচিগুলোর প্রকৃত ফল কেমন হয়, তা সময়ই বলে দেবে ইনশাআল্লাহ।

Top comments (0)