সালাম সবাইকে। সংসদে সম্প্রতি যে নতুন বিল নিয়ে আলোচনা চলছে, সেটা নিয়ে সিলেটে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে করতে কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাই সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইলাম। যেহেতু এখনকার রাজনৈতিক পরিবেশটাও অনেক সংবেদনশীল, তাই অনেকেই এই বিলের উদ্দেশ্য আর বাস্তবে এর প্রভাব নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলছেন। বিশেষ করে এনজিও সেক্টরে কাজ করা মানুষদের জন্য এমন কোন আইন আসলে মাঠপর্যায়ের কাজ কতটা সহজ বা কঠিন হতে পারে, এই দিকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে কাজ করি, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা আর কমিউনিটি ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির সাথে। আমাদের এলাকার মানুষ আজকাল সংসদে পাস হওয়া নতুন কোনও আইনের কথা শুনলেই আগে জানতে চান এটা তাদের দৈনন্দিন জীবনে কী পরিবর্তন আনবে। অনেকেই বলে যে আইন যতই ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে করা হোক, বাস্তব প্রয়োগটা ঠিকভাবে না হলে সাধারণ মানুষের কাছে সেটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রেক্ষাপটে নতুন বিলগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে মানুষের মাঝে সন্দেহ থাকাটাও স্বাভাবিক।
একটা বিষয় মনে রাখতে হয় যে যেকোনও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, নাগরিক মতামত আর জনআলোচনার জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংসদে যে কোনও বিল তোলা হলে মাঠপর্যায়ে কাজ করা মানুষদের মতামত নেওয়া হলে বাস্তবতার সাথে আরও বেশি মিল পাওয়া যেত বলে আমি মনে করি। সিলেটে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা আমাকে বলেছেন যে এমন অনেক নীতি আছে যা কাগজে ভালো শোনালেও বাস্তবে গ্রামে কাজ করা মানুষের সাথে মেলে না। তাই নতুন বিলের ক্ষেত্রেও সবাই আশা করছে যেন এটি জনগণের সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেয়।
সবশেষে একটা ব্যক্তিগত অনুভূতি শেয়ার করি। আলহামদুলিল্লাহ, কাজের সুবাদে আমি নানা ধরনের মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগ পাই, আর তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুনে সবসময় মনে হয় যে আইন প্রণেতাদের আরও বেশি মানুষের কথা শোনার সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত। ইনশাআল্লাহ, যদি নতুন বিলগুলো বাস্তবমুখী হয়, তবে উন্নয়নের গতি বাড়বে এবং নাগরিকদের আস্থা আরও দৃঢ় হবে। আপনারা সিলেট বা দেশের অন্য কোথাও এমন কোন প্রভাব লক্ষ্য করেছেন কি না, সেটা কমেন্টে জানালে ভালো লাগবে ভাই।
Top comments (0)