Banglanet

বিয়ের আগে এবং পরে কী কী মনে রাখা উচিত – কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা

ভাই ও আপুরা, আসসালামু আলাইকুম। আজকে ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, তাই ভাবলাম একটু বিয়ে নিয়ে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি আইটি সাপোর্টে কাজ করি চট্টগ্রামে, আর আমাদের অফিসে নতুন বিয়ে হওয়া ভাইদের আড্ডায় প্রায়ই এই বিষয়টা উঠে আসে। অনেকে বিয়ের আগে শুধু অনুষ্ঠান, ছবি, সাজসজ্জা, গয়না বা বিরিয়ানি নিয়েই বেশি ভাবেন, কিন্তু আসলে বিয়ের আসল প্রস্তুতি অনেকটাই মানসিক এবং আচরণগত। ইনশাআল্লাহ, কেউ যদি এসব কিছু মাথায় রাখেন, বিয়ের পরে জীবনটা আরও সহজ হবে।

প্রথম পরামর্শ হলো প্রত্যাশা পরিষ্কার রাখা। বউ বা বর কেউই নিখুঁত না। আপনি যেমন অফিসে চাপ নিয়ে আসেন, অন্যজনও নিজের জীবনের চাপ নিয়ে আসে। তাই অল্পতেই রেগে যাওয়া বা মন খারাপ করে ফেলা ঠিক না। আমার এক বন্ধুর ঘটনা বলি, ও বিয়ের শুরুর দিকে নিজের ছোটখাটো অভ্যাস লুকিয়ে রাখতো। পরে সেসব বিষয় সামনে এলে ঝামেলা হতো। তাই শুরু থেকেই স্বাভাবিক থাকা, নিজের সীমাবদ্ধতা জানানো, আর অন্যজনের সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয় বিষয় হলো যোগাযোগ। চট্টগ্রামের ব্যস্ত রাস্তায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ি করে চাকরি করলে অনেক সময় কথা বলার সময় থাকে না। কিন্তু তবুও দিনে অন্তত ১০ মিনিট হলেও নিজের জীবনসঙ্গীর সাথে মন খুলে কথা বলা দরকার। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি বড় সমস্যায় রূপ নেয় শুধু যোগাযোগ না থাকার কারণে। আলহামদুলিল্লাহ, যেসব দম্পতি প্রতিদিন একবার হলেও নিজেদের দিন কেমন গেল তা নিয়ে কথা বলেন, তারা অনেক বেশি শান্তিতে থাকেন।

আরেকটা জিনিস হলো দুজনের পরিবারকে সম্মান দেওয়া। বিয়ে শুধু দুইজন মানুষের না, দুইটা পরিবারের সংযোগ। তাই শ্বশুরবাড়ি বা নিজের পরিবার নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আমাদের এলাকায় তো বেশিরভাগ সময় পরিবারগুলোই বড় সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে কঠিন সময়ে। মাশাআল্লাহ, যাদের পরিবারে ভালো সম্পর্ক থাকে তারা মানসিকভাবেও বেশি স্থির থাকেন।

শেষ কথা ভাই, বিয়ে একটা বড় সিদ্ধান্ত, কিন্তু একই সাথে সুন্দরও। এটাকে সুন্দর রাখতে হলে দুজনেরই চেষ্টা, ধৈর্য, সম্মান ও দোয়া দরকার। ভুল হলে মাফ চাইতে লজ্জা নেই, আর ভালো কিছু হলে প্রশংসা করতে কার্পণ্য করা উচিত নয়। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা সবার সংসারে শান্তি ও বরকত দিন। 💚

Top comments (0)