২ মে ২০২৫, চট্টগ্রাম থেকে লেখা এই প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবেশের পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনকার গরম মৌসুমে তাপমাত্রা আগের তুলনায় বেশি অনুভূত হচ্ছে এবং এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে নদীভাঙনপ্রবণ ও জোয়ারভাটার এলাকাগুলোতে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরগুনার মতো অঞ্চলে মানুষ এখন প্রায়ই খেয়াল করছে যে পানি আগের তুলনায় দ্রুত নোনতা হয়ে যাচ্ছে, যা কৃষি ও দৈনন্দিন জীবনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় থেকেও পরিবেশের পরিবর্তন স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে বৃষ্টির ধরণ অনিয়মিত হয়ে গেছে। কখনও টানা গরম, আবার হঠাৎ ভারী বৃষ্টি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা বললে, আগ্রাবাদে কয়েকদিন আগে সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হয়ে দেখি বাতাস অস্বাভাবিকভাবে ভারী লাগছিল, যেন আর্দ্রতার চাপ বেড়ে গেছে। এলাকার দোকানিরাও বলছিলেন যে এই গরমে রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে যাচ্ছে, আর চা দোকানগুলোও আগের মতো ভিড়ে জমজমাট থাকে না। প্রকৃতির এই পরিবর্তন যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে, তা এখন খুবই স্পষ্ট।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবেশ দূষণ কমাতে এখনই সবার যৌথ উদ্যোগ জরুরি। শহরগুলোতে যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ, শিল্প-কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা এবং নগর পরিকল্পনায় সবুজ এলাকা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। অনেকেই এখন সোলার প্যানেল ব্যবহার, প্লাস্টিক কমানো এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের প্রতি ঝুঁকছেন, যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক পরিবর্তন। ইনশাআল্লাহ এই ধরনের সচেতনতা যদি আরও বাড়ে, তবে পরিবেশগত ক্ষতি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।
তবে শুধু সরকার বা বড় প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও পরিবেশ রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাড়িতে গাছ লাগানো, পানি সাশ্রয় করা, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানো এবং যত্রতত্র ময়লা না ফেলা এগুলোর মতো ছোট ছোট কাজও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেক তরুণই সামাজিক মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। পরিবেশ রক্ষা শুধু একটি দায়িত্ব নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের রেখে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আমানত।
Top comments (0)