বাংলাদেশি ফুটবল ঘিরে এখন একটা ভালো উত্তাপ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ফুটবল প্রিমিয়ার লিগ ২০২৪-২৫ শুরু হয়েছে গত বছরের নভেম্বরের শেষে। আলহামদুলিল্লাহ, চট্টগ্রামে বসে ম্যাচগুলো ফলো করলে মনে হয় শেষ কয়েক বছরে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স অনেকটাই বদলে গেছে। পরপর পাঁচবার শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা নিয়ে বসুন্ধরা কিংস আবারও মাঠে নামছে বলে তাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস দেখা যায়। তবে শুধু বড় দলের কথা বললে হবে না, লিগে অন্যান্য দলের ছেলেদের মধ্যেও যে চেষ্টা আর ইচ্ছাশক্তি দেখছি, তা সত্যিই মাশাআল্লাহ প্রশংসার যোগ্য।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বন্ধুদের সাথে বসে Pathao ফুড থেকে বিরিয়ানি অর্ডার করে ম্যাচ দেখি। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে তখনই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়। অনেক সময় দেখি কোন খেলোয়াড়ের টেকনিক ঠিক আছে, কিন্তু ফিটনেস কম। আবার কেউ আছে যাদের দৌড়ঝাঁপ ঠিকঠাক, কিন্তু পাসিং এর সময় একটু দ্বিধা থাকে। এসব বিষয় আসলে আমাদের দেশের ফুটবলে বহুদিনের চ্যালেঞ্জ। তবে এই মৌসুমে মনে হচ্ছে বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় এগিয়ে আসছে, যা ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগায়।
আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স উন্নত করতে হলে ক্লাবগুলোর ট্রেনিং সিস্টেম আরও শক্তিশালী হওয়া দরকার। চট্টগ্রামে আমাদের স্থানীয় ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অনেক খেলোয়াড়ের প্রতিভা আছে, কিন্তু সঠিক গাইডলাইন না থাকলে সেই প্রতিভা মাঠে পুরোপুরি দেখা যায় না। বিদেশি কোচ বা উন্নত ট্রেনিং প্রোগ্রামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে ইনশাআল্লাহ আরও ভালো ফল আসবে। আজকাল ইউটিউবে দেখলে বোঝা যায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তরুণ খেলোয়াড়রা কত উন্নত পদ্ধতিতে অনুশীলন করে।
সবশেষে, দর্শকদের সমর্থনও বড় একটি বিষয়। আমি নিজে যখন স্টেডিয়ামে যাই, দেখি দর্শকদের চিৎকার চেঁচামেচি খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। একবার মিরপুরে গিয়ে দেখেছিলাম পুরো গ্যালারি একসাথে হাততালি দিচ্ছে, খেলোয়াড়রাও যেন দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে খেলছিল। আমাদের ফুটবলের উন্নতির জন্য খেলোয়াড়দের পাশাপাশি আমাদেরও কিছু ভূমিকা আছে। সমালোচনা করব ঠিকই, কিন্তু উৎসাহ দেওয়াটাও যেন ভুলে না যাই ভাই। 😊
Top comments (0)