বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বলতে আমরা সাধারণত যেসব জ্ঞান বা প্রযুক্তি নতুনভাবে পাওয়া যায়, সেগুলোকেই বুঝি। আজকের দিনে, বিশেষ করে ১৬ জুন ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বিজ্ঞান আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলছে। চট্টগ্রামের ব্যস্ত শহুরে জীবনে চলাফেরা করতে গিয়েও বিজ্ঞান কতটা সাহায্য করে তা খুব সহজেই টের পাওয়া যায়। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, আধুনিক চিকিৎসা, পরিবহন—সবই কোন না কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফল।
আমি নিজে কয়েকদিন আগে Pathao ব্যবহার করে নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়েছিলাম, আর মনে হচ্ছিল কত দ্রুত প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। আগে যেখানে দিকনির্দেশনা খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল, এখন GPS এর মতো প্রযুক্তি মুহূর্তেই দেখিয়ে দিচ্ছে কোন রাস্তায় যেতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, এসব প্রযুক্তি জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। তাছাড়া, বৃষ্টি হলে ছাতা হাতে ঘোরাঘুরির বদলে এখন ঘরে বসেই অনলাইনে খাবার বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার করা যায়। এটা সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন অ্যাপ ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির উন্নতির কারণে।
বিজ্ঞানের আরেকটি বড় ভূমিকা দেখা যায় চিকিৎসা ব্যবস্থায়। এসব দিনে হাসপাতালে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার যেগুলো পূর্বে ছিল না। MRI, CT scan বা উন্নতমানের ল্যাব টেস্ট সবই বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও আবিষ্কারের ফলাফল। চট্টগ্রাম মেডিকেলে আমার এক আত্মীয়কে দেখে আসার সময় ডাক্তারদের মুখে শুনলাম যে নতুন কিছু ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি এখন আরও দ্রুত রোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করছে। মাশাআল্লাহ, এসব অগ্রগতি মানুষের জীবন বাঁচাতে বড় ভূমিকা রাখছে।
এছাড়া, পরিবেশ ও শক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা গুলোও বিজ্ঞানের গুরুত্বকে আরও সামনে নিয়ে এসেছে। এখন সৌরবিদ্যুৎ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এসব নিয়ে দেশে আগ্রহ বাড়ছে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু বাড়িতে সৌর প্যানেল দেখা যায়, যা খুবই ইতিবাচক পরিবর্তন। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে এসব আবিষ্কার আমাদের আরও পরিবেশবান্ধব পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সব মিলিয়ে, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার শুধু কোনো গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রতিদিন আমাদের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলছে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনযাত্রা আরও উন্নত হচ্ছে। তাই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হওয়া এবং নতুন আবিষ্কারগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা সময়ের দাবি।
Top comments (0)