বাংলা গান সব সময়ই আমাদের বিনোদন জীবনের বড় একটা অংশ। বিশেষ করে ঢাকা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় প্রতিদিন অফিসে যাওয়া আসার পথে কানে ইয়ারফোন থাকলে সেই ক্লান্তি অনেকটাই কমে যায়। আমি নিজেও মোহাম্মদপুর থেকে আগারগাঁও অফিসে যাতায়াতের সময় প্রায়ই পুরনো আধুনিক গান কিংবা নতুন ব্যান্ডের সঙ্গীত শুনি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন অনলাইন স্ট্রিমিং অ্যাপের কারণে গান খুঁজে পাওয়া আর শুনে ফেলা দুটোই অনেক সহজ হয়ে গেছে।
গত মাসে একুশে বইমেলা ২০২৫ ঘুরতে গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন স্টলে নতুন নতুন অ্যালবামের প্রচারণা চলছিল। যদিও এখন অ্যালবাম প্রকাশের ধারা অনেকটাই কমে গেছে, তবুও কিছু স্বাধীন শিল্পী এখনো বইমেলার মতো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে নিজেদের গান শোনানোর সুযোগ খুঁজে পান। সেখানে দাঁড়িয়ে এক তরুণ শিল্পীর লাইভ পরিবেশনা শুনে মাশাআল্লাহ বেশ ভালোই লেগেছে। বেশিরভাগই নিজেদের লেখা গান, আর সুরে ছিল আধুনিক আর লোকজ ঘরানার মিলন।
বাংলা ব্যান্ডসংগীতের প্রতি আমার একটা আলাদা টান আছে। আর্টসেল, ওয়ারফেজ, শিরোনামহীন বা ক্রিপটিক ফেইটের মতো ব্যান্ডগুলো তো অনেকেরই পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ইউটিউবে নতুন নতুন স্বাধীন ব্যান্ড উঠে আসছে যারা খুব সুন্দরভাবে পুরনো ধারা আর আধুনিক সাউন্ড মিশিয়ে কাজ করছে। অফিস থেকে বাসায় ফিরে রাতে এক কাপ চায়ের সাথে ইউটিউবে নতুন রিলিজগুলো শুনতে শুনতেই অনেক দিন শেষ হয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ সামনে ব্যান্ডসংগীতে আরও নতুনত্ব আসবে।
লোকগানও এখন আগের মতোই জনপ্রিয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বাউল, ভাটিয়ালি বা পালাগানের আধুনিক অ্যারেঞ্জমেন্ট অনেক তরুণ শ্রোতার কাছেও এখন আকর্ষণীয়। Pathao বা Uber এ চড়ে যাতায়াতের সময় ড্রাইভার ভাইদের গাড়িতে এসব গান শুনলে একধরনের আপন অনুভূতি তৈরি হয়। ইলিশ ভাজা আর গরম ভাতের মতোই লোকগান হৃদয়ে অন্যরকম স্বাদ দেয়।
সব মিলিয়ে বাংলা গান সময়ের সাথে সাথে রূপ বদলাচ্ছে, তবে মনের ওপর এর প্রভাব একই রকম শক্তিশালী রয়ে গেছে। আপনি কোন ধরনের বাংলা গান বেশি শুনেন ভাই? নতুন কোন শিল্পী বা ব্যান্ডের নাম সাজেস্ট করলে ভালো লাগবে।
Top comments (0)